2024 সালের বিভিন্ন পুরুষ্কার ও সম্মাননা
2024 সালের বিভিন্ন পুরুষ্কার : নবেল পুরস্কার ২০২৩
🏆 চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের তালিকা
❐ ঘোষণার তারিখঃ সোমবার, 2 অক্টোবর ২০২৩
❐ ঘোষণার স্থানঃ ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, সোলনা
❐ বিজয়ীঃ যৌথভাবে ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রু ওয়াইজম্যান
❐ অবদানঃ নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য, যা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে কার্যকর mRNA ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করেছে
❐ চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী
🏅 ক্যাটালিন কারিকো
ক্যাটালিন কারিকোর জন্ম হাঙ্গেরিতে। তিনি একজন বায়োকেমিস্ট এবং মলিকুলার বায়োলজিস্ট। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের একজন অধ্যাপক।
🏅ড্রু ওয়েইসম্যান
ড্রু ওয়েইসম্যানের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি একজন ইমিউনোলজিস্ট এবং ভাইরোলজিস্ট। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের একজন অধ্যাপক।
🏆 পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের তালিকা
❐ ঘোষণার তারিখ: মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
❐ ঘোষণার স্থান: রাজকীয় সুইডিশ বিজ্ঞান একাডেমি, স্টকহোম
❐ বিজয়ী: পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি, ফেরেঙ্ক ক্রাউস এবং অ্যান ল’হুইলিয়ার
❐ অবদান: পদার্থের ইলেকট্রন গতিবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য আলোর অ্যাটো সেকেন্ড স্পন্দন তৈরি🏅 পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি
পিয়েরে অ্যাগোস্টিনির জন্ম ফ্রান্সে। তিনি একজন পদার্থবিদ এবং ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট-এটিনে অধ্যাপক।
🏅ফেরেঙ্ক ক্রাউস
ফেরেঙ্ক ক্রাউসের জন্ম হাঙ্গেরিতে। তিনি একজন পদার্থবিদ এবং থিজসজেড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির অধ্যাপক।
🏅অ্যান ল’হুইলিয়ার
অ্যান ল’হুইলিয়ারের জন্ম ফ্রান্সে। তিনি একজন পদার্থবিদ এবং ইকোল পলিটেকনিক ফেডেরালে ডি লাভেলের অধ্যাপক।এই আবিষ্কারের কিছু প্রয়োগ:
❐ নতুন উপকরণ এবং ডিভাইস তৈরি করা
❐ রাসায়নিক এবং জৈবিক প্রক্রিয়া গুলো বোঝা
❐ ঔষধ এবং চিকিৎসা গবেষণায়🏆 রসায়নে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের তালিকা
❐ ঘোষণার তারিখ: বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
❐ ঘোষণার স্থান: রাজকীয় সুইডিশ বিজ্ঞান একাডেমি, স্টকহোম
❐ বিজয়ী: মুঙ্গি বাওয়েন্ডি, লুই ব্রুস এবং আলেক্সি ইয়াকিমভ
❐ অবদান: কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার, উন্নয়ন এবং ন্যানোক্রিস্টাল প্রযুক্তি বা ন্যানো পার্টিকেল আকার ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
🏅মুঙ্গি বাওয়েন্ডি
মুঙ্গি বাওয়েন্ডির জন্ম ফ্রান্সে। তিনি একজন রসায়নবিদ এবং ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট-ইটিনে অধ্যাপক।
🏅লুই ব্রুস
লুই ব্রুস এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি একজন রসায়নবিদ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
🏅আলেক্সি ইয়াকিমভ
আলেক্সি ইয়াকিমভ এর জন্ম রাশিয়ায়। তিনি একজন রসায়নবিদ এবং রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সের একজন সদস্য।
তাদের অবদানের কিছু সম্ভাব্য প্রয়োগের মধ্যে রয়েছে:
❐ নতুন আলোক উৎস এবং ডিসপ্লে তৈরি করা
❐ উন্নত সৌর কোষ তৈরি করা
❐ নতুন ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করা
❐ পরিবেশ দূষণ কমানো🏆 সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের তালিকা
❐ ঘোষণার তারিখ: বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
❐ ঘোষণার স্থান: সুইডিশ একাডেমি, স্টকহোম
❐ বিজয়ী: জন ফস
❐ অবদান: উদ্ভাবনী নাটক এবং গদ্য যা অকথ্যকে কণ্ঠ দেয়সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন জন ফসি🏅জন ফস
জন ফসের জন্ম নরওয়েতে। তিনি একজন নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং অনুবাদক।
ফসের কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে:
❐ নাটক: “এটি আমার জীবন”, “হাউস ফুল অফ বিউটিফুল থিংস”, “স্টিল লাইফ ইন দ্য ওয়াইল্ডারনেস”
❐ উপন্যাস: “মোড”, “আমার মায়ের মুখ”, “আমার বোন”
❐ ছোটগল্প সংগ্রহ: “দ্য ব্লাড স্পিল”, “দ্য ওয়াটার ওয়ান্ডারিং”, “দ্য ফায়ার ট্রিল”
❐ ফসের কাজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে নরওয়েজিয়ান গভর্নমেন্টের ইবসেন পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক ইবসেন পুরস্কার।
নোবেল কমিটির মন্তব্য
❐ নোবেল কমিটি বলেছে যে ফস “আমাদের সময়ের একজন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখক, আমাদের বিশ্বকে নতুন উপায়ে দেখতে বাধ্য করে।” ফসের এই পুরস্কারটি নরওয়েজিয়ান সাহিত্যের জন্য একটি বড় অর্জন। এটি নরওয়েজিয়ান সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছে।🏆 শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের তালিকা
❐ ঘোষণার তারিখ: শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
❐ ঘোষণার স্থান: নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি, অসলো
❐ বিজয়ী: নার্গিস মোহাম্মদী
❐ অবদান: ইরানে নারীদের অধিকার এবং সবার জন্য মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা ইরানের নার্গিস মোহাম্মদী (নোবেল পুরস্কার ২০২৩ তালিকা)
🏅 নার্গিস মোহাম্মদী
❐ নার্গিস সাফিয়ে মোহাম্মদী জন্ম ২১শে এপ্রিল ১৯৭২, একজন ইরানি মানবাধিকারকর্মী এবং ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টার-এর উপ-প্রধান। মোহাম্মাদি ইরানে নারীদের অধিকারের জন্য এবং সাধারণ মানুষের মানবাধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছেন।
❐ তিনি নারীদের অধিকারের জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং নারীদের জন্য শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য কাজ করেছেন। এইসব কাজের জন্য সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি এবং ২০১৬ সালের মে মাসে তেহরানে ১৬ তার বছরের জন্য কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। “মৃত্যদণ্ড রদ” করার পক্ষে প্রচারাভিযান চালানো একটি মানবাধিকার আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তিনি, ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এবং মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৫৪টি বেত্রাঘাতের শাস্তি পেয়েছেন।
❐ মোহাম্মদী তার কাজের জন্য নোবেল বাদেও বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২০১০ সালে শিরিন এবাদির থেকে ফেলিক্স এরমাকোরা মানবাধিকার পুরস্কার।
🏆 ২০২২ সালে নোবেল বিজয়ীদের তালিকা
🏆 চিকিৎসাবিজ্ঞান
▣ বিজয়ী: 🏅সান্তে প্যাবো
❐ অবদান: বিলুপ্ত হোমিন এবং মানব প্রজাতির জিনোম সম্পর্কিত গবেষণায় আবিষ্কার🏆 পদার্থবিজ্ঞান
▣ বিজয়ী: 🏅অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, 🏅জন ক্লোজার, 🏅অ্যাটন জেলিঙ্গার
❐ অবদান: কোয়ান্টাম ইনফরমেশনের দুনিয়ায় অভাবনীয় সাফল্য🏆 রসায়ন
▣ বিজয়ী: 🏅ক্যারোলিন আর. বার্তোজী, 🏅কার্ল ব্যারি সার্পলেশ, 🏅মর্টেন মেন্ডল
❐ অবদান: ক্লিক কেমিস্ট্রি এবং বায়োর্থোগোনাল কেমিস্ট্রির উন্নয়ন🏆 সাহিত্য
▣ বিজয়ী: 🏅অ্যানি এনৌ
❐ অবদান: সাহস এবং নিখুঁত মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়কে একত্রিত করে প্রকাশ🏆 শান্তি
▣ বিজয়ী: 🏅অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, মেমোরিয়াল, 🏅সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস
❐ অবদান: মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য কাজ🏆 অর্থনীতি
▣ বিজয়ী: 🏅বেন এস. বারন্যাঙ্ক, 🏅ডগলাস ডব্লিউ. ডায়মন্ড, 🏅ফিলিপ এইচ. ডিবভিগ
❐ অবদান: ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংকটের উপর গবেষণা
স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪ :
❐ এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
❐ পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
❐ ৬ টি ক্ষেত্রে ১০ বিশিষ্টজনকে প্রদান করা হয় “স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪”।
❐ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন—
১. স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ➺(৩জন)
কাজী আব্দুস সাত্তার,
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর)
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)।
২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ➺ ড. মোবারক আহমদ খান।
৩. চিকিৎসাবিদ্যায় ➺ ডা. হরিশংকর দাশ।
৪. সংস্কৃতিতে ➺ মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।
৫. ক্রীড়ায় ➺ ফিরোজা খাতুন।
৬. সমাজ বা জনসেবায় ➺ (৩জন)
অরন্য চিরান,
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী
এসএম আব্রাহাম লিংকন।
এক নজরে ৯৬তম অস্কার পুরস্কার বিজয়ী – ২০২৪ (মার্চ ১১, ২০২৪)
অস্কার পুরস্কার ২০২৪ (৯৬তম একাডেমি এওয়ার্ড)
❐ এবারের অস্কারে সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন ➺ জিমি কিমেল।
❐ জমকালো আয়োজনে অস্কারের ৯৬তম আসরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ➺ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে
❐ সেরা সিনেমা বা সেরা ছবি ➺ ওপেনহেইমার (মোট ৭টি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে)
❐ সেরা অভিনেতা ➺ কিলিয়ার মারফি (ওপেনহেইমার)
❐ সেরা অভিনেত্রী ➺ এমা স্টোন (পুওর থিংস)
❐ সেরা পরিচালক ➺ ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহেইমার)
❐ সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ➺ রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহেইমার)
❐ সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী ➺ ডে’ভাইন জয় র্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)
❐ সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য ➺ অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়েত, আর্থার হারারি)
❐ সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য ➺ আমেরিকান ফিকশন (কর্ড জেফারসন)
❐ সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ➺ দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (হায়াও মিয়াজাকি ও তোশিও সুজুকি)
❐ সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ➺ দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (যুক্তরাজ্য)
❐ সেরা চিত্রগ্রহণ ➺ হয়তে ফন হয়তেমা (ওপেনহেইমার)
❐ সেরা পোশাক পরিকল্পনা ➺ পুওর থিংস (হলি ওয়াডিংটন)
❐ সেরা প্রামাণ্যচিত্র ➺ টোয়েন্টি ডেইস ইন মারিউপোল (মিস্তিস্লাভ চেরনোভ, ইউক্রেন)
❐ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ➺ দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ (বেন প্রাউডফুট ও ক্রিস বাওয়ার্স)
❐ সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদনা ➺ ওপেনহেইমার (জেনিফার লেম)
❐ সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা ➺ পুওর থিংস (নাদিয়া স্টেসি, জশ ওয়েস্টন ও মার্ক কুলিয়ার)
❐ সেরা মৌলিক আবহসংগীত ➺ লুদভিগ গোরানসন (ওপেনহেইমার)
❐ সেরা মৌলিক গান ➺ হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর? (গীতিকার ও সুরকার বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল, সিনেমা ➺ বার্বি)
❐ সেরা শিল্প নির্দেশনা ➺ পুওর থিংস (জেমস প্রাইস, শনা হিথ ও জুজা মিহালেক)
❐ সেরা শব্দ ➺ দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনি বার্ন, টার্ন উইলার্স)
❐ সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ➺ গডজিলা মাইনাস ওয়ান (তাকাশি ইয়ামাজাকি, কিয়োকো শিবুয়া, মাসাকি তাকাহাশি, তাতসুজি নোজিমা)
❐ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ➺ দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগার (ওয়েস অ্যান্ডারসন, স্টিভেন রালস)
❐ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ➺ ওয়ার ইজ ওভার! ইন্সপায়ার্ড বাই দ্য মিউজিক অব জন অ্যান্ড ইয়োকো (ডেভ মালিন্স, ব্র্যাড বুকার)
❐ সম্মানসূচক অস্কার ➺ মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট, মার্কিন কমেডিয়ান, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক মেল ব্রুকস, চলচ্চিত্র সম্পাদক ক্যারল লিটেলটন
❐ জিন হার্শোল্ট মানবিক অ্যাওয়ার্ড ➺ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের নির্বাহী মিশেল স্যাটার।
অস্কার সম্পর্কিত তথ্যকনিকা :
❐ অস্কার পুরস্কারের অপর নাম: ➺ একাডেমি এওয়ার্ড।
❐ বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বা নোবেলখ্যাত পুরস্কার ➺ অস্কার।
❐ অস্কার পুরস্কার প্রদান করা হয় ➺ ২৪টি ক্যাটাগরিতে
❐ অস্কার পুরস্কার চালু হয়/দেওয়া হয় ➺ ১৯২৯ সাল থেকে।
❐ অস্কার পুরস্কারের অনুষ্ঠানস্থল ➺ লস অ্যাঞ্জেলস (ডলবি থিয়েটার হল, যুক্তরাষ্ট্র।)
❐ অস্কার পুরস্কারের প্রবর্তক ➺ যুক্তরাষ্ট্রের হলিউড Academy of Motion Pictures Arts & Science
❐ প্রথম বাঙালী ও দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে অস্কার বিজয়ী ➺ সত্যজিৎ রায়; ১৯৯২ সালে।
❐ প্রথম অস্কার বিজয়ী ভারতীয় ➺ বানু আথাইয়া; (১৯৮২ সালে গান্ধী চলচ্চিত্রের জন্য।)
❐ এককভাবে দুটি ক্যাটাগরিতে অস্কার বিজয়ী প্রথম ভারতীয় ➺ এ. আর. রহমান।
❐ প্রথম বাংলাদেশি অস্কার বিজয়ী ➺ নাফিস বিন জাফর; ২০০৭ ও ২০১৫ সালে।
❐ নাফিস বিন জাফর যে ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান ➺ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ।
❐ টাইটানিক অস্কার পুরস্কার লাভ করে কবে ➺ ১৯৯৮ সালে। (মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে)
❐ টাইটানিক কতটি বিভাগে অস্কার পুরস্কার লাভ করে ➺ ১১টি বিভাগে।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩’ ঘোষণা করা হয়।
১১টি বিভাগে মোট ১৬ জন এ পুরস্কার লাভ করেন।
পুরস্কার বিজয়ী
❐ কবিতা: শামীম আজাদ।
❐ কথাসাহিত্য: নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী
❐ প্রবন্ধ/গবেষণা: জুলফিকার মতিন।
❐ অনুবাদ: সালেহা চৌধুরী।
❐ নাটক: মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক।
❐ শিশুসাহিত্য: তপংকর চক্রবর্তী।
❐ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা: আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ।
❐ বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণা: সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান।
❐ বিজ্ঞান/ কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞান: ইনাম আল হক।
❐ আত্মজীবনী/ স্মৃতিকথা/ ভ্রমণকাহিনী: ইসহাক খান।
❐ ফোকলোর: তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ।
২০২৪ সালের একুশে পদক
❐ বাংলাদেশের দ্বিতীয় সম্মানজনক বেসামরিক পুরস্কার: একুশে পদক।
❐প্রবর্তিত: ১৯৭৬ সালে।
❐ পুরস্কার প্রদান করা হয়: ১১টি বিভাগে।
❐ ঘোষণা দেয়: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
একুশে পদক-২০২৪: ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক (৬ জন মরণোত্তর) এর তালিকা
ক্রম ➺ব্যক্তির নাম ➺ ক্ষেত্র
❐ ১) মৌ, আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ➺ ভাষা আন্দোলন
❐ ২) বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর) ➺ ভাষা আন্দোলন
❐ ৩) জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর) ➺ শিল্পকলা (সংগীত)
❐ ৮) বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ ➺ শিল্পকলা (সংগীত)
❐ ৫) বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর) ➺ শিল্পকলা (সংগীত)
❐ ৬) এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ➺ শিল্পকলা (সংগীত)
❐ ৭) শুভ্র দেব ➺ শিল্পকলা (সংগীত)
❐ ৮) শিবলী মোহাম্মদ ➺ শিল্পকলা (নৃত্যকলা)
❐ ৯) ডলি জহুর ➺ শিল্পকলা (অভিনয়)
❐ ১০) এম. এ. আলমগীর ➺ শিল্পকলা (অভিনয়)
❐ ১১) খান মো: মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ➺ শিল্পকলা (আবৃত্তি)
❐ ১২) রূপা চক্রবর্তী ➺ শিল্পকলা (আবৃত্তি)
❐ ১৩) শাহজাহান আহমেদ বিকাশ ➺ শিল্পকলা (চিত্রকলা)
❐ ১৪) কাওসার চৌধুরী ➺ শিল্পকলা (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামান্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইডিং)
❐ ১৫) মো: জিয়াউল হক ➺ সমাজসেবা
❐ ১৬) আলহাজ্ব রফিক আহামদ ➺ সমাজসেবা
❐ ১৭) মুহাম্মদ সামাদ ➺ ভাষা ও সাহিত্য
❐ ১৮) লুৎফর রহমান রিটন ➺ ভাষা ও সাহিত্য
❐ ১৯) মিনার মনসুর ➺ ভাষা ও সাহিত্য
❐ ২০) রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) ➺ ভাষা ও সাহিত্য
❐ ২১) প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু ➺ শিক্ষা
একুশে পদক কী?
একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও দেশের উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখা সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা সংগঠনকে সম্মানিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন এর অমর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে।
একুশে পদক বিজয়ী প্রত্যেককে একটি পদক, একটি সম্মাননা সনদ, একটি রেপ্লিকা এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হয়। পদকটিতে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ৩৫ গ্রাম ভরের একটি মেডেল আছে যেটির ডিজাইন করেছেন নিতুন কুণ্ডু। প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বিভিন্ন সময়ে তা বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হয়েছে। একুশে পদক এমন একটি পুরস্কার যে এটিকে অর্থ দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। এটি প্রাপ্তিতে যে প্রেরণা কাজ করে তা কোনো স্বর্ণ বা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
একুশে পদকের ইতিহাসঃ
১৯৭৬ সালে তৎকালীন শিক্ষা-সংস্কৃতি বিষয়ের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক আবুল ফজলের পরামর্শে বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান একুশে পদক প্রবর্তন করেন। প্রথমবারের মত বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একুশে পদক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৭৬ সালে সাহিত্য, শিক্ষা ও সাংবাদিকতা – এই তিনটি বিভাগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবি জসীম উদ্দীন, বেগম সুফিয়া কামাল, ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ- খুদাসহ মোট নয়জনকে একুশে পদক দেওয়া হয়।
একুশে পদকের নীতিমালাঃ
একুশে পদকের বেশ কিছু নীতি আছে। এই নীতিমালাতে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা আছে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক-
একুশে পদক যারা পেতে পারেনঃ
কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাকে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য সরকার একুশে পদকে ভূষিত করতে পারে-
১) ভাষা আন্দোলন
২) শিল্পকলা (সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, চারুকলাসহ সকল ক্ষেত্র)
৩) মুক্তিযুদ্ধ
৪) সাংবাদিকতা
৫) গবেষণা
৬) শিক্ষা
৭) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
৮) অর্থনীতি
৯) সমাজ সেবা
১০) রাজনীতি
১১) ভাষা ও সাহিত্য এবং
১২) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্র।
উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলোতে একুশে পদক দেওয়া হয় এবং একুশে পদক পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার বিশেষ অবদান থাকতে হবে। আবার একুশে পদক পাওয়ার জন্য ব্যক্তিকে চরিত্রগুণ ও দেশাত্মবোধে অনবদ্য হতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব দেখে একুশে পদক দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হবে।
একুশে পদকের নীতিমালায় বলা আছে যে, কোন বছর পনেরটির চাইতে বেশি পদক দেওয়া হবে না এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক/ প্রতিষ্ঠান/ সংস্থাই একুশে পদক নিতে পারবে। তবে সরকার ইচ্ছা করলে কোন বছর পদক এর সংখ্যা কমাতে কিংবা বাড়াতে পারে এবং যে কোন যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করতে পারে।
কমিটি গঠণঃ
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন প্রতিনিধি নিয়ে একুশে পদক প্রদান সংকান্ত সাব-কমিটি গঠণ করা হয়।
কার্যক্রমঃ
কমিটি প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝেই প্রাপ্ত আবেদনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাছাই করে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করে। এরপর প্রাথমিকভাবে মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের বিবরণসহ তালিকা কাগজ জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মাঝেই জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
একুশে পদক প্রদানের পদ্ধতিঃ
সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, জেলা প্রশাসক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর/ দপ্তর/ সংস্থা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একুশে পদক প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে সংযুক্তি ছক অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহবান করা হয়। একুশে পদক পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নামের প্রস্তাব বা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েববসাইটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পূর্বে যারা একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক লাভ করেছেন তাঁরাও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বা প্রতিষ্ঠানের মনোনয়ন প্রস্তাব পাঠাতে পারেন। প্রস্তাবকদের তাঁদের প্রস্তাবিত ব্যক্তি সম্পর্কে ৩৫০ শব্দের মধ্যে সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সংযুক্তি ছকে উল্লেখ করতে হয়।
জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একুশে পদক মনোনয়ন বাছাই সংক্রান্ত সাব-কমিটি প্রাথমিক তালিকা বাছাই করে অথবা মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনায় উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতার, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে নির্বাচিত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানসমূহের নাম প্রকাশ করা হয়। তার আগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের (মরণোত্তর পদকের ক্ষেত্রে নির্বাচিত ব্যক্তির স্বামী/ স্ত্রী/ উপযুক্ত উত্তরাধিকারী) সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের কাছ থেকে পদক গ্রহণের সম্মতিপত্র নেবে।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, কোনো ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান পদক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বা নির্দিষ্ট সময়ে তাঁদের মতামত না জানালে তা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জানাতে হবে। ঐ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নাম পদকপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং তাঁদের নাম পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না।
যে বছর পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে সেই বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতি/ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে পদক তুলে দিবেন।
আবার মরণোত্তর পদক প্রদানের ক্ষেত্রে পদক প্রাপক যদি একুশে পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে অপারগ হন, তবে সেক্ষেত্রে পদক প্রাপকের স্বামী বা স্ত্রী অথবা যথযথ উত্তরাধিকারী পদক গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে। কিন্তু যদি কোন পদক প্রাপক বা মরণোত্তর পদক প্রাপ্ত ব্যক্তির যথাযথ উত্তরাধিকারী পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে কোনভাবেই সক্ষম না হন, তবে তিনি পদকটি বীমাকৃত ডাকযোগে বা অন্য কোন অনুমোদিত মাধ্যমে তাঁর কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
একুশে পদকের জন্য সাব কমিটি কর্তৃক মনোনীত সুধীবৃন্দ/ প্রতিষ্ঠানের নাম জাতীয় পুরষ্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রেরণের পর যেসকল সুধী/ প্রতিষ্ঠান ঐ বছর একুশে পদক প্রাপ্ত হননি, তাঁদের নাম পরের বছরের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হবে।
একুশের মহান চেতনাকে তাৎপর্যপূর্ণ করার পাশাপাশি আমাদের সৃজনশীল ও প্রতিভাবান ব্যক্তিদের উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য একুশে পদক প্রবর্তন করা হয়েছিল। জাতির কৃতী সন্তানরা তাঁদের মেধা আর কর্মের মাধ্যমে আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এবং তাঁরা এই ক্ষেত্রগুলোতে অসামান্য অবদান রেখে একুশে পদকে ভূষিত হয়ে বায়ান্নর সেই ভাষা আন্দোলন আর ২১ ফেব্রুয়ারির মহান চেতনা উজ্জ্বীবিত করে রাখছেন। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ যেমনটা আমরা চিরকৃতজ্ঞ আমাদের মহান ভাষাশহীদদের প্রতি।